পুরাতন মালদা

পরিযায়ী শ্রমিকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার

 

বাড়ি থেকে দু’কিলোমিটার দূরে থাকা আমগাছ থেকে এক পরিযায়ী শ্রমিকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হওয়াকে কেন্দ্র করে জোর চাঞ্চল্য ছড়াল পুরাতন মালদার মঙ্গলবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের কামঞ্চ এলাকায়। এই ঘটনায় দাম্পত্য কলহ রয়েছে বলে পরিবার সূত্রে খবর। দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে মালদা থানার পুলিশ।

    জানা যায়, মৃত পরিযায়ী শ্রমিকের নাম সাফির আলি (৩২)। বাড়ি পুরাতন মালদার নারায়ণপুর সংলগ্ন জলঙ্গা গ্রামে। বছরের প্রায় ১২ মাসই ভিনরাজ্যে থাকত সে। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, কর্মসূত্রে প্রায় সারা বছর বাইরে থাকলেও স্ত্রী হবিনুর বিবির সঙ্গে বনিবনা হত না সাফিরের। ফোনেও চলত দু’জনের ঝগড়া। স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, স্বামী বাইরে থাকার সুযোগে হবিনুর নাকি পরকীয়াতেও জড়িয়েছিলেন। সম্ভবত তা নিয়েই এই দম্পতির মধ্যে বিবাদ চলছিল। মাসখানেক আগে হবিনুর স্বামী সহ শ্বশুর-শাশুড়ির বিরুদ্ধে মালদা থানায় বধূ নির্যাতনের অভিযোগ দায়ের করেন। এর জেরে ছেলেকে ভিনরাজ্য থেকে বাড়িতে এনে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করান সাফিরের বাবা-মা। প্রায় এক মাসের কারাবাসের পর দিন দশেক আগেই বাড়িতে ফিরেছিলেন সাফির। যদিও হবিনুর তার আগেই তাঁর বাপের বাড়ি চলে যান। তিনি আর শ্বশুরবাড়িতে ফেরেনি। তবে তাঁদের দুই মেয়ে বাবার বাড়িতেই থাকত। পরিবার সূত্রে জানা যাচ্ছে, এদিন ভোরে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান সাফির। সকালে দু’কিলোমিটার দূরে কামঞ্চ গ্রামের একটি আমগাছে তাঁর ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান গ্রামবাসীরা। সেই খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় পরিবারের লোকজন। পরে মৃতদেহটি উদ্ধার করে নিয়ে যায় মালদা থানার পুলিশ।